শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশি পাহারায় কড়ইবাড়ি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
পরে নিহত রুবি আক্তারের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাঙ্গরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল মালিক জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, কড়ইবাড়ি গ্রামের সবির আহমেদ (৪৮) ও নাজিম উদ্দীন বাবুল (৫৬)।
বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল চুরি ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলে কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তারকে (৩২) পিটিয়ে হত্যা করে। রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫) গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।